‘ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ দিলে জনগণ মানবে না’

Rate this post


ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া তাদের যে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিলে, জনগণ মেনে নিবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৌলিক দায়িত্বের অন্যতম হচ্ছে রাষ্ট্র যন্ত্রের সংস্কার। রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রশাসনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ লোকদের প্রশাসন থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষদের নিয়োগ দিতে হবে। ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসরদের সরিয়ে অন্য দলের মনোনীতদেরও নিয়োগ কিংবা দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। যারা ৫ আগস্টের পর থেকে ক্ষমতার মসনদে বসতে উঠেপড়ে লেগেছে তাদের লোক দিয়েও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই নির্বাচন হবে ইতিহাসের জঘন্যতম প্রহসনের নির্বাচন। দেশের রাজনৈতিক দল এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে সংস্কার করে নিরপেক্ষ, সৎ ও আদর্শিক লোকদের দায়িত্ব দিতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক দায়িত্বশীল যে যেখানে আছে সেখান থেকেই দেশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও করবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভূমিকা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। এখান থেকে বের হয়েছে এবং হচ্ছে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য ও আদর্শবান নাগরিক।

শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির আজকে যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে তা সম্ভব হয়েছে সাবেক দায়িত্বশীলদের আত্মত্যাগ আর দেশপ্রেম ও সততার কারণে। এ আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম ও সততা অব্যাহত আছে এবং থাকবে। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছি আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা সফল হবো। সব অপশক্তি ও অপপ্রচার এ দেশের ছাত্র-সমাজই রুখে দেবে।

See also  জনগণের সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : তারেক রহমান

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ড. হেলাল উদ্দিন, রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. কেরামত আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, মতিহার থানা আমির অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, কাটাখালী থানা আমির জামাল উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি আশরাফ হোসেন ফারুক, বিশিষ্ট ব্যাংকার এবিএম আব্দুস সাত্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস, এসএম খায়রুজ্জামান সবুর, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক দায়িত্বশীল কামরুজ্জামান পুলক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক নেতা আবু হানিফ খন্দকার প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি যথাক্রমে ড. মোবারক হোসাইন, আশরাফুল আলম ইমন, হাফেজ নুরুজ্জামান, হাবীবুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রহিম, মোহাইমিন, সাবেক শিবির নেতা ফরহাদ হোসেন, আনিসুর রহমান বিশ্বাস, মাসুদ রানা, শেখ ফরিদ, তোফাজ্জল হোসেন তোফা, রবিউল ইসলাম, আফজাল হোসেন প্রমুখ।





Source link